গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান তীব্র আকার ধারণ করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ জোরদার করেছে, যা গাজা শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এই অভিযান পরিচালনা করতে আকাশ থেকে ফাইটার জেট ও ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের ওপর ড্রোন থেকে গুলি ছোড়া, তারপর আর্টিলারি আক্রমণ এবং শেষে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে ‘শত্রুদের নির্মূল’ করা হচ্ছে।
আবাসিক এলাকা লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ নুসিরাত শরণার্থী শিবির থেকে দেইর আল-বালাহ ও অন্যান্য শহরে পালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব অঞ্চলেও ইসরায়েলি বাহিনীর তৎপরতা তীব্র।
বেইট লাহিয়াতের মতো অঞ্চলগুলোতে বোমা হামলার কারণে পুরো এলাকাটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ বলেন, "একটি আটার বস্তা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের লড়াই করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্যের অভাবে সবাই মারা যেতে পারে।"
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় দুইটি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়েছে, যার ফলে ৫০ শিশুসহ ৮৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।